করোনা – ভাইরাস আপডেট খবর পরীক্ষা,উপসর্গ,লক্ষণ ও প্রতিরোধ

করোনা – ভাইরাস আপডেট খবর পরীক্ষা,উপসর্গ,লক্ষণ ও প্রতিরোধ


করোনা ভাইরাস  হলো এমন এক ধরণের ভাইরাস যা সহজেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, মূলত চীনের উহান প্রদেশ থেকেই এই ভাইরাসের জন্ম। করোনাভাইরাস আপডেট,বিজ্ঞানীমহলের কিছু বুঝে ওঠা পর্যন্ত এই ভাইরাস পুরো পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং  সাড়ে ১৮ লক্ষ মানুষের প্রাণ  নিয়ে ছিল (২০২১ সালের জানুয়ারীর রিপোর্ট অনুযায়ী ) এই ধরণের ভাইরাসের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় আট টির  মতো।

 বিজ্ঞানীদের মতে এই ভাইরাস ২০০২ সালেও আবির্ভুত হয়েছিল চিনে তখন এর নাম ছিল ' সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম ' সংক্ষেপে সার্স (Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS))। যার প্রভাবে ৮০৯৮ জন সংক্রমিত ৭৪৪ জন মৃত্যু বরণ করেছিল।এই ভাইরাস ছিল করোনার আর এক রূপ। সেই কারণে এর আরো এক প্রকার নাম চিহ্নিত করা হয় যা হলো ( SARS COV 2 ) সার্স কভি - 

আমাদের অন্য পোস্ট : টম্যাটো ফ্লু জ্বর কি, এর লক্ষণ এবং করণীয় কি

করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ রচনা বাংলা, করোনা শব্দ টি ল্যাটিন ভাষা  থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট ,তবে যাইহোক ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসের ২য় সপ্তাহে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসের খবর নতুন আনুষ্ঠানিক নাম দেন  কোভিড-১৯ (covid -19).

 কোভিড-১৯ (covid -19 ) কিকরোনা ভাইরাস, করোনাভাইরাস

এটি হলো একপ্রকার বড়ো কোনো ভাইরাসের অংশ বিশেষ তবে এই ভাইরাস সাধারণ ভাবে শ্বাস প্রশ্বাসের সৃষ্ট বায়ুকণা দ্বারা শ্লেষ্মা হাঁচি তে পরিণত হয় ,এই ভাইরাস খাদ্য থেকে পাওয়া গেছে তবে এটি খাদ্য থেকে সংক্রমিত কিনা তার  কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বিশেষত প্লাস্টিক স্টিলে এই ভাইরাস তিনদিন পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে কিন্তু এরোসলে ঘন্টা পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে।

    মানবদেহে কোভিড-১৯ (covid -19 ) কিভাবে আক্রমণ করেকরোনাভাইরাস আপডেট,করোনার খবর

ভাইরাস টি প্রথমেই ফুসফুসে বাসা বাধে ,তবে এই ভাইরাস উৎসেচকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক কোষে  আক্রমণ করে। কারণ ফুসফুসের টাইপ এলভিওলার কোষে প্রচুর পরিমানে এসিই থাকে ,প্রথমেই এই ভাইরাস গ্লাইকোপ্রোটিন  এর স্পাইক নামক বিশেষ পৃষ্ঠতলটি ব্যবহার করে এসিই তে মিলিত হয় নিয়ন্ত্রক কোষে প্রবেশ করে। এসিই এর ঘনত্ব প্রত্যেক টিস্যুতে রোগটির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ,তবে অন্যদিকে অনুমান করা হয় এলভিওলারের সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে শ্বাস কার্য বন্ধ হয় মৃত্যু ঘটে।   

  একজন থেকে অপরজনের দেহে করোনা সংক্রমণের পদ্ধতি, করোনা আপডেট,

মানুষ থেকে মানুষে করোনাভাইরাস  ছড়ায় অনেক রকম ভাবে ,যেমন ধরুন -করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি ঘরের বাইরে গেলেন এবং সেখানে হাঁচলেন অথবা কাশলেন রুমাল ছাড়া সেক্ষেত্রে সেই ভাইরাস যুক্ত বায়ুকণা বাতাসে -২মিটার পরিধির মধ্যে ভাসমান অবস্থায় তিন ঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে আগেই বলেছি   সেক্ষেত্রে  পরমুহূর্তে যদি সুস্থ ব্যাক্তি মাস্ক ছাড়া সেই স্থানে যায় এবং নিশ্বাস গ্রহণ করে তাহলে এই  ভাইরাস সুস্থ ব্যাক্তির দেহেও প্রবেশ করবে।

বয়স্ক ব্যাক্তিদের যাদের এজ্মা  ,হাঁপানি ,উচ্চরক্তচাপ হৃদ রোগ আছে তাদের মারাত্মক ভাবে এই রোগের কবলে পড়তে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব সাস্থ সংস্থা।

এছাড়াও যদি কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি  সুস্থ ব্যাক্তি পাশাপাশি থাকেন তাহলে অবশ্যই  শ্বাস প্রশ্বাস নেবে আর সেখানেই করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির প্রশ্বাসের মাদ্ধমে করোনা ভাইরাস বায়ুকণায় মিলিত হবে এবং নিশ্বাস রূপে সুস্থ ব্যাক্তির ফুসফুসে প্রবেশ করবে।

তাছাড়া আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি কাশির শিষ্টাচার না মানেন তাহলে সেই ব্যাক্তি যখন কাশবেন অথবা হাঁচবেন তখন তার করোনা ভাইরাস তার হাতের মাদ্ধমে বিভিন্ন ধরণের ব্যবহৃত  জিনিস পত্র যেমন -দরজা, ট্যাব/জলের কল ,যেকোনো দোকানের সামগ্রী  ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে ভাইরাস সেই ব্যবহৃত জিনিসপত্রে রয়ে যাবে এবং ধীরে ধীরে সুস্থ ব্যাক্তিদের দেহে সংক্রমণ বাড়াবে।

করোনাভাইরাসরোগের লক্ষণ উপসর্গ, করোনার লক্ষণ কি কি, করোনাভাইরাস উপসর্গ

করোনার লক্ষণ কি কি, এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তি আপাত ভাবে নিজেকে সুস্থ মনে করতে পারেন  তবে এর মধ্যে আক্রান্ত বেক্তির ৮৭. % জ্বর ,১১.% শরীর ঠান্ডা ,১৩.% মাথা ব্যথা ,১৩. % গলা ব্যথা ,১৮.%শ্বাস কষ্ট ,৬৭.% শুকনো কাশি ,৩৩.% থুতু উৎপাদন ,৩৮.% ক্লান্তি ভাব ,.% নাক বন্ধ ,.%বমি ভাব ,১৪.%মংসপেশী ব্যথা ইত্যাদি বেশি  যায়। করোনাভাইরাস আপডেট, তবে অল্প ক্ষেত্রে দেখা যায় শ্বাস তন্ত্রের কিছু জটিলতা যেমন -বুক বেথা ,বুক ধড়ফড় ,পালপিটেশন ,নাক দিয়ে পানি পড়া ,হাঁচি, গলা ব্যাথা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডায়ারিয়া ,বমি বমি ভাব ,ও নিমোনিয়ার মতো সমস্যা ও দেখা দেয়।

আরো পড়ুন : সর্দি কাশি কেন হয় এবং দূর করার ঘরোয়া উপায় 

করোনাভাইরাস উপসর্গ, অন্নান্য সংক্রমণের মতোও এক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার ১দিনের মধ্যেই উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় ,তাই এই সময়কে সুপ্তা বস্তা বলা হয়। মানবদেহে এই ভাইরাসের সুপ্তাবস্থা হলো ২-১৪ দিন তবে অল্প ক্ষেত্রে ৫-৬ দিন ও থাকে এই ভাইরাস ,বিশ্ব সাস্থ সংস্থা (who )এর মতে এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তির দেহে ২১ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।

করোনা থেকে বাঁচতে করণীয়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ

যেহেতু ২০২০ সালের ভয়াবহ আকারে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছিলো তাই এই ভাইরাস বৈশ্বসিক মহামারী রূপে পরিচিত হয় ,এই ভাইরাসের সল্পতম উপসর্গ থাকায় এই ভাইরাসকে উপসর্গহীন বলে ধরা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের দিকে যেহেতু ভ্যাকসিন অথবা এই রোগ নির্ধারণের জন্য যন্ত্র আবিষ্কার করা যায়নি সেই কারণে তৎকালীন সময়ে এই উপসরহীন ভাইরাস যাতে নীরবে ছড়িয়ে না পড়ে  এবং জনসংখ্যার হ্রাস না ঘটে সেই কারণে who এর মতামত অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গুলিতে  প্রাথমিক কিছু নিয়মাবলী বা শর্তাবলী  রাখা  হয়েছিল ,তখন সেই সমস্ত প্রাথমিক করণীয় গুলি প্রয়োগের মাধ্যমে সংক্রমণ রোধে অনেক সক্ষম হয়েছিল মানুষ এবং ডাক্তাররাও দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলো  এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি দের।

করোনা থেকে বাঁচতে প্রাথমিক ভাবে কি  কি করণীয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ   

১.সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা

করোনাভাইরাস, যেহেতু লক্ষণহীন তাই সে নীরবে মানুষের মধ্যে বিস্তার করতে পারবে ,তবে এই সংক্রমণ বিস্তার হয়তো কঠিন হতে পারে যদি মানুষজন জনবহুল এলাকায় বেশি না থাকে। কারণ আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি কোনো কারণে কাশে  বা হাঁচে  তখন বায়ুকণার মাদ্ধমে সুস্থ ব্যাক্তির দেহেও এই ভাইরাস সংক্রমিত হবে ,সেই কারণে সবথেকে ভালো হয় যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।একে  অপরকে  স্পর্শ না করা ও খুব দরকার ছাড়া জনসমাগম জায়গায়  প্রবেশ করা  এবং ১মিটার দূর থেকে কথা বলা। মানুষের ভিড় প্রয়োজন ছাড়া এড়িয়ে চলুন ও খেয়াল রাখুন যাতে অন্য ব্যাক্তির শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে কোভিড covid ভাইরাস কোন যাতে দেহে না প্রবেশ করতে পারে।

২.  মাস্ক ব্যাবহার করুন

সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন ,সামাজিক দূরত্বের সাথে সাথে মাস্ক ও ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক। আর হ্যা মাস্ক  ব্যবহার করবেন তবে  খেয়াল রাখবেন যেন একটি মাস্ক ৬ ঘন্টার বেশি না ব্যবহার করা হয় ,এতে ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে।

৩.হাত ও মুখ ধুয়ে করোনার   বিরুদ্ধে লড়াই করুন

সমাজে নিজে বাঁচুন ও অন্যকে বাঁচার সুবিধা করে দিন ,সেই জন্য সবাই কে করোনার বিরুদ্ধে হাত ও মুখ ভালোভাবে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত   প্রয়োজন। এক গবেষণায় প্রমাণিত যে এই ভাইরাস বাতাসে ৩ ঘন্টা ও কাঠ বা স্টিলে তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত জীবিত থাকে পারে আগেই বলেছি ,আর যেহেতু আমরা প্রত্যাহিক জীবনে কাজকর্মের তাগিতে প্রতিদি নিয়মিত ভাবে এই সমস্ত বস্তু হাত দিয়ে স্পর্শ করে থাকি তাই আমাদের সচেতন হয়ে প্রত্যেক বার হাত ও মুখ ভালোভাবে হ্যান্ডওয়াশ না থাকলে সাধারণ জল দিয়েই ধুইবো । যে যে জিনিসে  হাত দেয়ার পর হাত ধোয়া প্রয়োজন সেগুলি হলো -

* সমাজের বহুসংখ্যক মানুষ ব্যবহার করে এমন বস্তু যেমন-জলের ট্যাব , ATM ,টাকা ,বিভিন্ন দোকানের প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ,যেকোনো  পাবলিক গাড়ির হাতল ইত্যাদি জিনিসে হাত না দেওয়া।

*বাড়ির বাইরের রাস্তায় অন্য কোনো চেনা অথবা  ঘনিষ্টদের সাথে হাত মেলানো বা কোলাকুলি করা একদম চলবেনা।

*কোনো যানবাহনের দরজা হাত দিয়ে স্পর্শ করার আগে ভালোকরে স্যানিটাইজার দিয়ে দিতে হবে।

*হোটেল অথবা বাইরের কোনো রেস্তোরার বাসন ,প্লেট ইত্যাদিতে হাত না দেয়া।

*বাইরের কোনো আসবাব অথবা অন্য কারো ব্যাবহৃত জিনিস না স্পর্শ করা।

*অন্য কারো ব্যাবহৃত রুমাল ,মাস্ক ও সরঞ্জাম না ব্যবহার করা।

যত ঘন ঘন সম্ভব হাত ধুইতে হবে এবং সতর্কতার সাথে উপরিউক্ত কারণে হাত ধোবেন ,এছাড়াও কোনো কিছু স্পর্শ করার পর সন্দেহ হয় তাহলে হাত ধুয়ে নিন তৎক্ষণাৎ এবার আসুন জেনে নিই হাত ধোয়ার বিশেষ পদ্ধতি -

* প্রথমে কলের পরিষ্কার জলে হাত ভিজিয়ে নিন ,এক্ষেত্রে পুকুরের জল না ব্যবহার করা ভালো।

* এরপর ভালো হ্যান্ডওয়াশ অথবা জীবাণুনাশক,শিশুদের  সাবান যেমন (lifeboy ,dettol ,জনসেন্স বেবি সোপ ইত্যাদি )না থাকলে অন্য সাবান ব্যবহারের দরকার নেই এতে হাতের তালুর স্কিনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যেতে পারে( আর উপরিউক্ত সাবান  থাকলে শুধু জল ব্যবহার করুন ) ভালোকরে দুই হাতে ঘষে নিন। যেহেতু দিনে বহুবার হাত ধুইতে হবে তাই জন্য অন্য সাবান না ব্যবহার করা ভালো এতে হাতের ত্বকের খসখসে ও পাতলা হয়ে যেতে পারে।

আমাদের অন্য পোস্ট : ত্বক ফর্সা করার কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

*এবার দুই হাতের তালু সহ উপর  পিঠ  ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

*হাতের আঙুলের  ফাঁক ও নখের গোড়া সহ কব্জি পর্যন্ত কচলে কচলে ধুয়ে নিন লক্ষ্য রাখুন যেন কোথাও সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াসের ফেনা না থেকে যায়।

*এক হাত আরেক হাতের উপর দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে ১ মিনিট সময় ধরে হাত ধুয়ে নিতে হবে। 

*হাত ধোয়ার সময় হাতে আংটি ,ঘড়ি,  চুড়ি  অথবা ব্রেসলেট থাকলে তা খুলে হাত ধোয়া প্রয়োজন কারণ উক্ত সামগ্রী ঢাকা জায়গায় জীবাণু থেকে যেতে পারে।

*হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার পর হাত ধুয়ার জন্য ও কলের সদ্য পড়ন্ত জল ব্যবহার করবেন।

*হাত মোছার সময় বহু ব্যাবহৃত রুমাল অথবা টাওয়াল না ব্যবহার করে একবার ব্যাবহৃত কাগজের টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন এতে হাত ভেজাও থাকবেনা আর জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকবেনা।

*ব্যাবহারের পর কাগজের রুমালটি ঢাকনা যুক্ত ডাস্টবিন এ ফেলুন।

*যদি তাৎক্ষণিক সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ না পাওয়া যায় তাহলে শুধু জল দিয়ে  চালাতে পারেন সমস্যা নেই।

৪.গুজব ছড়াবেন না ও গুজবে কান দেবেন না

এই ধরণের ভাইরাসের প্রভাবে সাধারণ মানুষজন ছোট থেকে বয়স্ক সবাই চিন্তিত ও আতঙ্কিত ,তাই এই সময় বিভিন্ন মানুষ নানা রকম গুজব ছড়ায় যার কারণে সাধারণ মানুষ ভয় পেয়ে যায় তাই বলি -গুজব যাই হোক না কেন গুজবে কান না দিয়ে গুজব এড়িয়ে যান এবং  গুজব ছড়াবেন না নিজেরা সবসময় সতর্ক থাকবেন।  

৫.হাত দিয়ে নাক , মুখ ও চোখ এ স্পর্শ  করবেননা

বেশিরভাগ আমরা হাত দিয়ে নানা রকম কাজ করার জন্য অনেক কিছুতে স্পর্শ করে থাকি সেই সুবাধে আমাদের হাতে অনেক রকম জীবাণু লেগে যায় ,সাথে বর্তমানের করোনা ভাইরাস ও লেগে যেতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ দিনে ৪৮০ বার নিজেদের মুখের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে থাকে আর মুখের বিভিন্ন স্থান থেকে ভাইরাস আমাদের দেহে   প্রবেশ করে। তাই মুখে হাত দেওয়ার আগে হাত  ভালো ভাবে পরিস্কার করে নেয়া উচিৎ  ,তবে বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করবেন মুখে দেয়া থেকে বিরত থাকতে। আর যদি হাত দেওয়া খুবই দরকারি হয় আর হাতের কাছে সাবান ,হ্যান্ডওয়াশ অথবা স্যানিটাইজার না থাকে তবে কাগজের টিস্যু দিয়ে মুখে স্পর্শ করুন এবং প্রয়োজন শেষে টিস্যুটি ডাস্টবিন এ ফেলে দিন।

*আমরা যেসব কারণে বিশেষত মুখে হাত দিয়ে থাকি -

নাক,মুখ চুলকালে ,মুখে ব্রণ,ফুসকুড়ি দেখা দিলে ,গভীর চিন্তা হলে ও হাঁচি কাশির সময়।

*হাঁচি বা কাশি হলে অবশ্যই রুমাল বা টিস্যুর সাহায্যে মুখ ঢাকুন ,খালি হাত কাশি,হাঁচির সময় মুখে দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

সর্বপ্রথমে নিজেকে নিয়ে পর্যবেক্ষনকরুন দেখুন আপনি কোন কোন সমময় নিজের মুখে হাত দিয়ে থাকেন সেই মতো নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করুন।

৬.পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার মাদ্ধমে করোনাকে দূরে সরান

আমরা নিজেদের বাড়ি পরিষ্কার রাখলেও নিজেদের বাইরের পরিবেশ একেবারেই পরিষ্কার রাখতে চাইনা কয়েকজন ছাড়া, তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মধ্যেই কিন্তু করোনা ভাইরাস দূরকরার বিশেষ উপায় ও পরীক্ষিত প্রমান রয়েছে। তাই আজ থেকে শুধু নিজের বাড়ি নয় সাথে আশেপাশের পরিবেশকেও সুস্থ রাখার চেষ্টা করবো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে।

পরিবেশ পরিষ্কার রাখার জন্য যা যা করণীয়

 *রাস্তা ঘাটে যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনা ফেলা যাবেনা  এতে ভাইরাস বংশবিস্তার করবে।

*যেখানে সেখানে থুতু, কফ ও সর্দি ফেলবেন না এতেও ভাইরাস ছড়ায়।

৭.সচেতন

নিজেও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতন হন এবং অন্যকেও সচেতন করুন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ,কারণ এই ভাইরাস যতটা ছড়াচ্ছে তার প্রতি সাধারণ মানুষের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই এবং তারা কোনো রকম সচেতনতা প্রকাশ না করে নিজেরা নিজেদের মুখে হাত না ধুয়ে স্পর্শ করা থেকে শুরু করে যেখানে সেখানে থুতু ফেলা ইত্যদি কাজকর্ম করে থাকে তাই জন্য নিজেরা সচেতন হন ও অন্যকে সচেতন করুন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে।

আমাদের অন্য পোস্ট : দিনের ১২ টি ভালো অভ্যাস যা আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং মন থাকবে সতেজ 

করোনাভাইরাস পরীক্ষা, নিজে অথবা পরিচিত কেউ যদি আশঙ্কা করেন যে আপনারা করোনা আক্রান্ত তাহলে কি করবেন

আপনি অথবা আপনার পরিচিত যদি কেউ জ্বর ,কাশি,গলা ব্যাথা ,হাঁচির মতো করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ গুলি তে  স্বাভাবিক ভাবে আতংকিত হয়ে পড়েন তাহলে প্রথমে ভয় না পেয়ে প্রথমে স্বাভাবিক ভাবেই  সেলফ আইসোলেশন এ চলে যান, (পরিবারের অন্য সদস্য ও কর্মস্থলের থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখুন )এতে যদিও এই রকম সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে অন্য কারও ছড়ানোর কোনো রকম রিস্ক হবেনা। এবপং সম্ভব  না হলে আলাদা ঘরে থাকুন ও পরিবারের বাকি সদস্য দের  সেই ঘরে যাতে  না আসে  সেদিকে খেয়াল রাখুন।

এবং খাবার সহ অন্যান্য দরকারি জিনিস যেন দরজার বাইরে রাখা রাখা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

 সবসময় মাস্ক  ব্যবহার করুন ,এছাড়াও দ্রুত করোনা টেস্ট করান এবং এই টেস্ট এর রিপোর্ট আসা পর্যন্ত উপরের ও নিচের সাবধানতা গুলি অবলম্বন করুন।

*চিকিৎসক রা একটি কনফারেঞ্চ এ বলেছিলেন করোনা র সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমত সবসময় কুসুম গরম জলের গার্গেল করতে ও গরম জলের ভাব নিতে।

*ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ও প্রোটিন যুক্ত খাবার খান কারণ এই রকম রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেহে ইম্যুনিটি সহ পুষ্টি প্রয়োজন।

করোনাভাইরাস পরীক্ষাশরীরের অক্সিজেনের দিকে খেয়াল রাখুন ৯৫% কম অক্সিজেন হলে শ্বাস কষ্ট ,বুকে ব্যাথা ইথ্যাদি দেখা দিতে পারে।  তাই সম্ভব হলে পালস  অক্সিমিটার নামক যন্ত্র কিনেনিতে পারেন। লিংক এখানে দেয়া  আছে।

*এই রকম সংক্রমণ হলে রোগী সাধারণত দুশ্চিন্তা গ্রস্থ ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে  পরে তাই সবসময় ইতিবাচক ভাবনা ভাবুন ও নিজেকে ফ্রি রাখার চেষ্টা  করুন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ, প্রয়োজনে মানসিক ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন।

করোনা আপডেটএছাড়াও দেহে জলের ভারসাম্ম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।

*অন্য কারো র প্রেস্ক্রিপশন অনুযায়ী কোনো রকম ওষুধ খাবেননা ,তবে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন এটি প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া খাওয়া যায় আর হ্যাঁ এই জাতীয় ওষুধের কোনো পার্সোপোতিক্রিয়া থাকেনা।

*অবস্যই  ভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

*আপনি যদি ডায়াবেটিস অথবা অন্য কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত থাকেন সেক্ষেত্রে ভয় পাবেন না ,ঘন ঘন জল পান করুন ,নিয়মিত আগের ওষুধ চালিয়ে যান এবং উপরিউক্ত সাবধানতা অবলম্বন করুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, করা যায় সেই চিন্তা রাখুন

আমাদের অন্য পোস্ট : ডায়াবেটিস কি,এর লক্ষণ,চিকিৎসা ও রোগীর খাদ্য তালিকা 

ছোটদের ক্ষেত্রে করোনার দুশ্চিন্তা

বর্তমানে বোড়োদের  সাথে সাথে ছোটদের ও করোনা আক্রমণের হার বেড়ে চলেছে তাই উপরিউক্ত সাবধানতা ছোটদের ক্ষেত্রে ও অবলম্বন করা দরকার। এছাড়াও করোনার মতো কিছু লক্ষণ দেখা  দিলে উচি ৎ  বাইরে একা  না ছাড়া , মাস্ক সহ  অভিভাবকেরাও সাথে যাবে ,বাচ্চারা যাতে খালি হাত মুখ ও চোখে স্পর্শ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অবস্যই নিন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ

বর্তমানে ২০২২ এর শেষ দিকে আবারও করোনা মহামারীর তৃতীয় ঝড় উঠেছে তাই সাধারণ মানুষের অকারণে জীবন হানি ও চিন্তার হাত থেকে বাঁচতে আসুন দেখে নিই করোনা পুনর্জন্ম এর পর আমাদের কি করণীয় ও  সবাই কে আমরা কিভাবে এই ঝড়ের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম হবো। সোনা যাচ্ছে আবার চিনে নুতুন ভাবে বেশিরভাগ কয়েক জন করোনা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে সেই কারণে বাকি দেশ গুলি আগে থেকে নিজেদের রক্ষার প্রয়োজনে তাদের প্রয়োজনীয় কর্মকান্ড শুরু করে দিয়েছে। তাই আসুন আমরা সাধারণ জনগণ মাইল করণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই ও সচেতন নাগরিকের মতো সরকারের কাজকর্মে সহায়তা করি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ

করোনা ভাইরাস

করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস আপডেট

করোনার খবর

করোনাভাইরাস পরীক্ষা

করোনা

করোনা ভাইরাস রচনা

করোনা আপডেট

করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ রচনা বাংলা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ

করোনার লক্ষণ কি কি

করোনাভাইরাস উপসর্গ ,এই সমস্ত সবকিছু এই আর্টিকেল এর মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। যদি  কোন কিছু ভুল হয়ে থাকে আমাদের সাথে  যোগাযোগ করবেন অথবা কমেন্ট এ জানাবেন। আপনার যদি আরো কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয় স্বাস্থ, চিকিৎসা বিষয়ে অবসসই কমেন্ট এ জানাবেন আপনাদের কমেন্টের মূল্যায়ন করবো। 

আমাদের গুগল নিউজ পোস্ট গুলি ফলো করুন ☛ Google News 

 

 

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Adsence

Adsence