বিভিন্ন যোগাসনের ব্যায়াম পদ্ধতি,উপকারিতা, ছবি ও নাম সহ
যোগাসন ব্যায়াম, বিভিন্ন যোগাসনের উপকারিতা, বিভিন্ন আসনের ছবি ও নাম, (Yogasan name with picture)যোগাসন নাম, (Yogasan name )যোগাসন পদ্ধতি, যোগাসন কাকে বলে, বিস্তারিত সব কিছু জানবো ছবি ও নাম সহ।
যোগাসন কাকে বলে (What is Yogasana)
আসন মূলত শরীরের একটি ভঙ্গি, মূলত বসার ধ্যানের মাধ্যমে, আসন হল একটি মুহুর্তের জন্য শরীরকে একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে সাজানো বা স্থাপন করার প্রক্রিয়া হলো যোগাসন।
বিভিন্ন যোগাসনের ব্যায়াম পদ্ধতি,উপকারিতা, ছবি ও নাম সহ (Yogasana Benefits name list with pictures in Bengali)
বর্তমানে চাপে এবং আধুনিকতার জেরে নিজেদের ফিট রাখার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োগ করছি এতে যেমন সময় ও বাড়ছে তেমনই নির্দিষ্ট ট্রেনার দিয়ে শরীর ফিট রাখতে গাদা গাদা টাকা খরচ করছি জিম এর মাদ্ধমে ,কিন্তু এতো ঝামেলায় না গিয়ে আমরা যদি জানতে পারি যে কোন বেয়ামে কি উপকারিতা এবং সঠিক ব্যায়ামের পদ্ধতি তাহলে কোনোরকম খরচপাতি ছাড়াই আমরা বাড়িতে বসেই নিজে নিজে আমাদের দেহ কে সুস্থ রাখার এক প্রয়াস চালাতে পারি।আসুন দেখে নিই অজানা কিছু যোগব্যায়াম এর পদ্ধতি ও উপকারিতা ছবি ও নাম সহ যোগাসনের তালিকা।
১.জলন্ধর বন্ধ ( Jalandhara Bandha)
জলন্ধর বন্ধ পদ্ধতি (Jalandhara bandha steps)
পদ্মাসন সিদ্ধাসনে সোজা হয়ে প্রথমে বসতে হবে এরপর ,শ্বাস কে টেনে ভেতরে নিতে হবে। হাত দুইটি হাঁটুর উপরে রেখে থুতনিটা কিছুটা ঝুকিয়ে কণ্ঠরূপের সাথে লাগানোর যোগাসন নাম জলন্ধর বন্ধ। দৃষ্টি ভ্রুয়ের মধ্যে আটকে রাখতে হবে ,যোগাসন ব্যায়াম টি বুক সামনের দিকে টান টান হয়ে থাকবে। (ছবির মতো )
জলন্ধর বন্ধ উপকারিতা (Jalandhar bandha benefits)
এই বন্ধের কারণে কন্ঠস্থানের নাড়ি সমূহ বাঁধা পড়ে ।
বিভিন্ন যোগাসনের উপকারিতা মধ্যে জলন্ধর বন্ধ যোগাসন পদ্ধতি আপনার কণ্ঠস্বর মধুর ,সুরযুক্ত ও আকর্ষিত হয়।
কণ্ঠের সংকোচন দ্বারা পিংলা নাড়ি গুলির বাঁধা পড়ার ফলে সুষুম্নায় প্রাণের প্রবেশ ঘটে।
এই বন্ধের দ্বারা গলার সব ধরণের রোগের যেমন -থাইরয়েড ,টন্সিল ,গোলকোন্ড ইত্যাদি রজার গোড়া থেকে নির্মূল সম্ভব।
এই প্রকার বন্ধের নিয়মিত অভ্যাস এর ফলে মন পরিষ্কার ও স্থির থাকে।
২.উড্ডীয়ান বন্ধ(Udian bandh)
উড্ডীয়ান বন্ধ পদ্ধতি (Udian bandh step by step)
যোগাসন পদ্ধতি প্রথমে দুইপা ফাঁক করে শরীরের সমস্ত মাংসপেশী আলগা করে সোজা হয়ে দাঁড়ান ,এবার হাটু দুটি সামান্য ভেঙে শরীরের উপরের অংশ সামান্য সামনের দিকে ঝুকিয়ে দু'হাতের তালু দুই উরুর উপর রাখুন। এরপর শ্বাস সম্পূর্ণ ভাবে ত্যাগ করার সাথে সাথে পেটের উপরের অংশ যতটা পারেন ভেতরের দিকে টেনে নিন এবং যতটা পারেন পেটটা খালি করুন। মনে মনে এই অবস্থায় ১-৭ পর্যন্ত গুনুন ,খেয়াল রাখুন দম যেন বন্ধ থাকে। ৭ সংখ্যা গোনা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে উঠে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান ও কয়েকবার দীর্ঘভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন এবং ছাড়ুন ,এরপর এই প্রক্রিয়াটি পুনরায় অভ্যাস করতে পারেন। কিছুদিন পর এর অভ্যাস মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন ,পদ্মাসন বা সিদ্ধাসনে বসে এই বন্ধ অভ্যাস করা যায় এই যোগাসন ব্যায়াম। (ছবির মতো )
উড্ডীয়ান বন্ধ উপকারিতা (Uddiyana bandha benefits)
হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে
হাঁপানি রোগীদের পক্ষে এই ব্যায়াম অনেক উপকারী ,এই অভ্যাস করার সময় মধ্যচ্ছদা পেশিটি অবশিষ্ট বায়ুকে বের করতে সাহায্য করে কারণ শ্বাস ত্যাগের পর যখন পেট খালি করে ভিতরের দিকে টানা হয় সেই সময় মধ্যচ্ছদা পেশি আরো উপরে উঠে গিয়ে ফুসফুসের মধ্যে থাকা বায়ুকে বের করে দেয় এর ফলে এই নিয়মটি নিয়মিত অভ্যাসের কারণে শ্বাস কষ্টের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। (তবে এতে হাঁপানি রোগীদের জোর করে শ্বাস নেয়ার ফলে ফুসফুসের সংকোচন ও প্রসারণ ক্রিয়া ব্যাহত হয় ,শ্বাস ছাড়ার পরও কিছু কিছু বায়ু ফুস ফুসের ভিতরে থেকে যায়। )
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের ক্ষেত্রে
এছাড়া এই মুদ্রার অভ্যাসের ফলে মধ্যচ্ছদা পেশিটি পরোক্ষ ভাবে পাকস্থলী ,যকৃৎ ও ক্ষুদ্রান্ত্র এর মালিশ করে এইসব জায়গায় রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং এদের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এতে বৃহদন্তটি সংকুচিত হয় ও তার ভিতরের বাহ্যিক নোংরা বস্তু (মলাদি )মলদ্বার দিয়ে সঠিক সময়ে বেরিয়ে পরে এতে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা কমে ও যাদের আগে থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তাও দূর হয়।
অন্যান্য (Others)
এছাড়াও এই যোগাসন ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাস এর ফলে বিভিন্ন যোগাসনের উপকারিতা মধ্যে এই আসনটি আপনাকে বহুমূত্র ,মহিলাদের গোপন রোগ ব্যাধি সেরে যায় এবং ,পুরুষের বীর্যধারণের ক্ষমতা বাড়ে।
(কৃমি যাদের পেটে আছে তাদের এ ধরণের অভ্যাস না করাই ভালো। )
৩.পদ্মাসন Padmasana (Lotus Pose)
এই যোগাসন পদ্ধতি অভ্যাস করার সময় ব্যক্তির পায়ের অবস্থান অনেকটা পদ্মফুলের পাপড়ির মতো দেখতে লাগে তাই এই যোগাসন নাম করা হয়েছে পদ্মাসন।
পদ্মাসন পদ্ধতি (Padmasana steps)
সর্বপ্রথমে শিরদাঁড়া সোজা রেখে পা দুই টি সামনের দিকে ছাড়িয়ে বসে হাত দুটি তে ভর দিয়ে ডানপা ভাঁজ করে বাম পায়ের উরুর উপর রাখুন ,এবং একই ভাবে বাম পাও ভাঁজ করে ডান পায়ের উরুর উপর রাখুন। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দুই পায়ের পাতা যেন দুই উরুর উপর থাকে ,এবার আপনার হাত দুটির তালু চিৎ অথবা উপুড় অবস্থায় ধ্যানের ভঙ্গি করে দুই হাঁটুর উপরে রেখে শিরদাঁড়া সোজা করে চোখের দৃষ্টি নাক এবং জিহ্ববার অগ্রভাগে রাখুন। (ছবির মতো )
শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৬০ সেকেন্ড পর পর পায়ের বদল ঘটান অর্থাৎ বাম পায়ের উরু ভেঙে ডান পায়ের উপর এবং ডান পায়ের উরু ভেঙে বাম পায়ের উপর রাখুন।
পদ্মাসন এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা (Padmasana lotus pose benefits)
বিভিন্ন যোগাসনের উপকারিতা, মতো এই যোগাসন ব্যায়াম ও আপনি উপকৃত হবেন নিয়মিত পদ্মাসনে প্রভাবে মানবশরীরে বিভিন্ন উপকারিতা লক্ষ্য করা যায় ,এবং অতীতে বিজ্ঞ মানুষেরা নিজেদের বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত নানারকম যোগব্যায়ামের অভ্যাস করতো তার মধ্যে পদ্মাসন বিশেষ আকর্ষিত এছাড়াও বর্তমানে নানারকম রোগের হাত থেকে বাঁচতে ডাক্তারেরা পদ্মাসন অভ্যাসের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
i.নিয়মিত এই যোগাসন পদ্ধতি অভ্যাসের ফলে হাঁপানি জাতীয় রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ii.যেহেতু এই অভ্যাসের মধ্যে শিরদাঁড়া সোজা রাখতে হয় তাই পদ্মাসন এর উপকারিতা, মেরুদন্ড সোজা ও সরল থাকে ,
iii.মানুসিক সমস্যা ,চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি ,মনের স্থিতিকরণ ,ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি ইত্যাদিতে সহায়তা করে।
iv.এই অভ্যাস প্রতিদিন সঠিক ভাবে করলে পায়ের পেশির শক্তি বৃদ্ধি ও স্নায়ুজালক সুস্থ থাকে যার ফলে বাত এর আক্রমণ ঘটেনা ,এবং বাতের মতো সমস্যা থাকলে তার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
v. পদ্মাসন এর উপকারিতা,স্থুলতা বা ওজন কমানোর জন্য এই যোগাসন ব্যায়াম করতে পারেন ,এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ফেলতে বিশেষ কার্যকরী।
৪.ময়ূরাসন (Mayurasana)
এই
প্রকার যোগাসন ব্যায়াম অনেকটা ময়ূরের মতো দেখতে লাগে তাই এই যোগাসন নাম ময়ূরাসন নামে খ্যাত।
ময়ূরাসনপদ্ধতি (Mayurasana steps)
মাটিতে হাটু মুড়ে বসুন এবার হাতের চেটো দুইটি জোড়া করে মাটিতে পেতে রাখুন এমন ভাবে যাতে অঙ্গুল এর মাথা গুলি গুলিউল্টো দিকে অর্থাৎ পায়ের দিকে ঘুরে থাকে। শরীরের উপরের অংশ একটু এগিয়ে নিয়ে দুহাতের কুনুই ভেঙে এমন ভাবে রাখুন যেন নাভির দুইপাশে থাকে। এবার পা জোড়া অবস্থায় সোজা করে রেখে হাতের উপর ভর দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর মাটি থেকে সমান্তরালে সোজা অবস্থায় উপরে তুলুন। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে প্রথমে অল্প সময় অভ্যাস করুন ভালোভাবে প্রাকটিস হলে সময় বাড়ান ,দুই অথবা তিনবার করার পর শবাসন করুন। (ছবির মতো )
ময়ূরাসন কার্যকারিতা ও উপকারিতা (Mayurasana benefits)
এই যোগাসন পদ্ধতি টি সময় যেহেতু হাতের কুনুই দুটির কারণে পেতে চাপ পড়ে এবং এতে তলপেটের ভিতরের দিকটায় চাপ কিছুটা বাড়ে তাই সেই সময়টায় তলপেটের প্রধান রক্তবাহী ধমনীর কার্যক্ষমতা বন্ধ থাকে ,সে কারণে যখন তলপেটের চাপটা সরিয়ে শবাসনে বিশ্রাম নেওয়া হয় তখন পাকস্থলী,যকৃৎ ,প্লীহা ও হজমের নাড়িতে রক্তের প্রবাহ মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কোষ্টকাঠিন্য ,ক্ষুধামান্দ্য ও বদহজমের মতো রোগ দূর হয় বিভিন্ন যোগাসনের উপকারিতা, মতো এই আসনে ও আপনি উপকৃত হবেন ,এছাড়াও পেশিবাত ,ক্ষুধামান্দ্য ও কাঁধের শক্তি বাড়ায় ময়ূরাসন যোগাসন ব্যায়াম।
৫.বকাসন (Bakasana yoga)
এই প্রকার আসনের রূপ অনেকটা বক আকৃতির হয়ে থাকে তাই বকের নামানুসারে এই যোগাসন নাম বকাসন দেয়া হয়েছে।
বকাসন পদ্ধতি (Bakasana steps)
সর্বপ্রথমে হাটু ভেঙে বসে তারপর দুই হাতের চেটো মাটিতে এমন ভাবে পেতে রাখতে হবে যেন আঙুলের মাথা গুলি সামনের দিকে ঘোরানো অবস্থায় থাকে ,এবার কোমর সামান্য পিছনের দিকে উঁচু করে দুই হাতের উপর পুরোপুরি ভর করে দুই হাটু কনুইয়ের উপরে রেখে সম্পূর্ণ শরীর শুণ্যে ভাসমান এর মতো অবস্থায় রাখতে হবে। এই সময় শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক অবস্থায় রাখুন এবং প্রথমে অল্প সময় অভ্যাস করার পর যখন পুরোপুরি আয়ত্তে এসে যাবে তখন ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে থাকুন। তবে হ্যাঁ এই আসন দুই তিনবার করে করুন প্রতিবার অভ্যাসের সময় শবাসন অবশ্যই করুন। (ছবির মতো )
বকাসন উপকারিতা ও কার্যকারিতা (Bakasana benefits)
এই প্রকার যোগাসন ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাসের ফলে হাতের পেশি সুগঠিত ও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ,এছাড়াও হজম শক্তি বাড়িয়ে পেটের পেশিকে মজবুত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত চর্বিও কমিয়ে দেয়।
৬.বজ্রাসন (Vajrasana)
বজ্রাসন পদ্ধতি (Vajrasana steps)
হাটু দুইটি জোড়া অবস্থায় মুড়ে এমন ভাবে বসুন যেন পায়ের আঙ্গুল থেকে থেকে হাটু পর্যন্ত সমস্ত অংশ মাটির সাথে স্পর্শিত থাকে ,এবার গোড়ালির উপর এমন ভাবে বসুন যেন নিতম্ব গোড়ালির উপর থাকে এবং ঘাড় ,বুক ও মেরুদন্ড যেন সোজা থাকে। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে আস্তে আস্তে সময় বাড়াতে পারেন ,প্রথম দিকে একটু পায়ে টান বা ব্যাথা অনুভব হতে পারে তবে নিয়মিত চর্চা করলে ঠিক হয়ে যাবে। (ছবির মতো )
বজ্রাসন উপকারিতা ও কার্যকারীতা (Vajrasana benefits)
নিয়মিত এই যোগাসন ব্যায়াম অভ্যাসের ফলে পায়ের বাত, বেদনা ও ব্যাথার মতো সমস্যা দূর হবে।
রাতে
এই অভ্যাসের ফলে অনিদ্রা দূর হয়ে হজম শক্তি বাড়ায়। পায়ের গাঁটের ব্যাথা ও ফ্লাটফুটের মতো
সমস্যাও দূর হয় সহজেই।
৭. উষ্ট্রাসন (Ustrasan)
বিভিন্ন যোগাসনের উপকারিতা, মতো এই আসনে ও আপনি উপকৃত হবেন এই যোগাসন পদ্ধতি সঠিক নিয়ম অনুসারে প্রয়োগ করলে এটি অনেকটা উটের মতো আকৃতি নিয়ে থাকে তাই এটি উটের নামানুসারে এই যোগাসন নাম উষ্ট্রাসন দেয়া হয়েছে।
উষ্ট্রাসন পদ্ধতি (Ustrasana steps)
হাটু মুড়ে বসে দুই হাত পিছনের দিকে ঘুরিয়ে বাম হাত দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালি ও ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের গোড়ালির কাছে ধরুন ,এখন পেট ও বুক তুলে দেহটাকে পিছনের দিকে ধনুকের মতো বাঁকিয়ে মাথা ঝুলিয়ে দিন। হাটু থেকে পায়ের চেটো পর্যন্ত যেন মাটির সাথে লেগে থাকে এই অবস্থায় শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কনুই যেন ভেঙে না যায়। (ছবির মতো )
উষ্ট্রাসন উপকারিতা ও কার্যকারিতা (Ustrasana benefits)
সূযোদয়
এর এক ঘন্টা আগে
জল খেয়ে প্রিতিদিন নিয়মিত উস্ট্রাসনের অভ্যাস
করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের নিরাময় হয় অতি সহজেই।
এছাড়াও পেটের অতিরিক্ত
চর্বি বা মেদ কমানোর
সাথে সাথে মেরুদন্ড নমনীয় ,বিশুদ্ধ রক্তের প্রবাহ মাত্রা বৃদ্ধি ও মানসিক চিন্তা
কমিয়ে মনের কান্তি দূর করে ।
আমাদের শেষ কথা
বিভিন্ন আসনের ছবি ও নাম নিয়মিত এই সমস্ত যোগাসন ব্যায়াম এর অভ্যাস করলে অনেক ধরণের কঠিন রোগ সহজেই নির্মূল হয়ে যাবে ,এছাড়া বর্তমানে শরীর চর্চায় জিমের পাশাপাশি যদি পরম্পরা যুক্ত অতীতের সেই আবেগপূর্ণ উপকারী যোগব্যায়ামের আভিজাত্যকে ফিরিয়ে আনা হয় এতে শরীর সুস্থ থাকার সাথে সাথে মন ও অসীম ফুর্তিময় হয়ে ওঠে। তাই আসুন নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য ফিরিয়ে আনি যোগব্যায়ামের চর্চা ঘরে ঘরে।
বিঃদ্রঃ - এছাড়াও আপনি যদি আরো বেশি জানতে চান নিচের যে কোনো একটি আপনার পছন্দ মতো বই পড়তে পারেন নিয়মিত। যে বইটি আপনার পছন্দের সেই বইটির উপর ক্লিক করুন বিস্তারিত পড়তে পারবেন। ...ধন্যবাদ
আমাদের গুগল নিউজ পোস্ট গুলি ফলো করুন ☛ Google News
আমাদের অন্যান্য পোস্ট