সর্দি কাশি কেন হয় এবং দূর করার ঘরোয়া উপায়

 

 আপনি কি জানেন সর্দি কাশি কেন হয় ? ছোট থেকে বড় সবার সর্দি কাশি হয়ে থাকে ,তবে স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে আমরা দৌড়ে ওষুধ দোকানে যাই আর এন্টিবায়োটিক কিনে খাই। এতে কিন্তু আমাদের দেহে আরো অন্য রোগের  জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। আর একটু বেশি কাশি হলে তো আমরা করোনা আতঙ্কে আতংকিত হয় ,আমি বলবো আতংকিত হবেননা। সবার আগে ঘরোয়া প্রাকৃতিক  টোটকা অথবা সর্দি কাশি দূর করার উপায় ফলো করবো। আমরা সবাই জানি যে আমাদের পূর্বপুরুষদের কিন্তু ডাক্তার ছিলোনা এবং তারা অনেক বেশি আয়ু যুক্ত ছিলেন ,তৎকালীন তারা তাদের অসুস্থতায় কি করতো ?কি আর করবে -প্রাকৃতিক কিছু টোটকা উপর জোর দিতো। এখন অবশ্য  অভিজ্ঞ ডক্টরেরাও এই সব সর্দি কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায় টিপস দিয়ে থাকেন। আসু দেখে নিই সাধারণত সর্দি কাশির কিছু কমন কারণ সর্দি কাশি হলে করণীয় কি -

সর্দি কাশি কেন হয় এবং সর্দি কাশি দূর করার উপায়

 

সর্দি কাশি কেন হয় এবং সর্দি কাশি দূর করার উপায়
Cough and cold

সর্দি কাশি কেন হয় 

.জলবায়ু (আবহাওয়া ) পরিবর্তন।

.বর্ষা কালে বেশি ভেজার কারণে।

.সর্দি কাশি কেন হয় জানেন যাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম  অথবা ঠান্ডার লেস আছে।

.হুট্ করে গরমের মধ্যে থেকে এসে এসি রুমে ঢোকা।

.এসি রুম থেকে বেরিয়ে হুট্ করে গরমের মধ্যে চলে আসা।

.সাধারণ জ্বর হলে।

.যক্ষারোগী (ব্যাতিক্রমী -এক্ষেত্রে ডাক্তার এর পরামর্শ প্রয়োজন )

.করোনা ভাইরাস আক্রান্ত (ব্যাতিক্রমী -এক্ষেত্রে ডাক্তার এর পরামর্শ প্রয়োজন )

আরো পড়ুন :ঘুম আসে না কেন।। ঘুম বৃদ্ধির উপায় 

সর্দি কাশি দূর করার উপায়

সর্দি ,শুকনা  কাশি ,ভিজা কাশি ,খুটখুটে  কাশি  ,নাক থেকে কাঁচা পানি আসা, গলা কিটকিট  ইত্যাদির মতো সমস্যার যদি আমরা সম্মুখীন হয় তখন আগে থেকে স্টেপ নেবো যাতে বেশি না ভুগতে হয়। সর্দি কাশি কেন হয় কারণ গুলি জেনে নিলাম এবার জন্য কি করণীয় এবং সর্দি কাশি দূর করার উপায় এর বিষয়ে। আসুন দেখে নেয়া যাক। 

. সর্দি কাশি থেকে মুক্তির উপায় আদা এক টুকরো আদা কেটে তাতে একটু লবন মিশিয়ে  যদি জিভের তলায় রেখে দেয়া যায় তাহলে ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

. সর্দি কাশি হলে করণীয়, এক গ্লাস মতো গরম জল একটু পেঁয়াজ এর রস যুক্ত করুন এবার এই পানীয় দিনে দুই বার খান ,সর্দি কাশির উপশম হবে।

আরো পড়ুন :দিনের ১২ টি ভালো অভ্যাস যা আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং মন থাকবে সতেজ  

.কয়েকটি বাসক পাতা ,তুলসী পাতা ,তেজ পাতা ,লবঙ্গ ,আদা , মিছরি জল দিয়ে ফুটিয়ে একটি পানীয় তৈরী করুন খাওয়ার সময় পারলে এর সাথে মধু যোগ করুন ,এতে খুব ভালো কাজ দেবে সর্দি কাশি দূর করার উপায় (বাচ্চা দের ক্ষেত্রে তেজ পাতা লবঙ্গ বাদ দিন কারণ এতে বেশি ঝাঁঝালো হবে যা বাচ্চারা সহ্য করতে পারবেনা। )

. সর্দি কাশি থেকে মুক্তির উপায় গরম দুধের সাথে এক চামচ হলুদ গুঁড়া যোগ করে তা সকালে সন্ধ্যায় সেবন করুন খুট খুটে কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।

 সর্দি কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায়, পাঁচ থেকে সাত টি তেজ পাতা ১টি আদা কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে এতে - টি লবঙ্গের সাথে দুই গ্লাস জল দিয়ে ফোটাতে থাকুন যখন দেখবেন দুই গ্লাস জল এক গ্লাস জলের পরিমান হয়ে গেছে তখন এটি নামিয়ে কুসুম কুসুম সেবন করুন এক চামচ মধুর সাথে। (ডায়াবেটিক দের মধু না দিলে চলবে )

.সর্দি  কাশির থেকে রেহাই পেতে  হলে সারাদিনে নিজের দেহে প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন সি গ্রহণ করুন। অর্থাৎ ভিটামিন-সি এর উৎস যুক্ত খাবার যেমন লেবু, আমলকি মতো খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন।

.রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্নান করার আগে সরিষার তেল নিয়ে পায়ের পাতা সহ বুক ,গলা ,নাকএ ভালো করে মেখে নিন এই পদ্ধতিটি সর্দি কাশি দূর করার উপায় 

. এই রোগের উপশম হলো লবন হালকা কুসুম গরম জলের সাথে সামান্য পরিমান লবন মিশিয়ে গার্গেল করতে পারলে গলা খুশ খুশ বন্ধ হবে এবং কফ জমা হলে নরম হয়ে বেরিয়ে যেতে পারে

সর্দি কাশি দূর করার উপায় হলো  আপনি আদার সাথে মধু দিয়ে অথবা লিকার চা খেতে পারেন আদা মধু দিয়ে।

আরো পড়ুন :জেনে নিন মধুর গোপন কিছু উপকারিতা

১০. গর্ভাবস্থায় কাশি হলে অনেকে ওষুধ খেতে ভয় করে এই সময় আপনি কাঁচা রসুনের খেতে পারেন এবং মধু খেলে দারুন উপকারে আসবে তবে এই সময় ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার প্রচুর পরিমানে খাবেন।


সর্দি কাশি কেন হয় এবং সর্দি কাশি দূর করার উপায় উপরে আলোচনা করলাম।  সাধারণ চিকিৎসার জন্য সর্দি কাশি থেকে মুক্তির উপায়, তবে এর থেকে যদি কোনো উপশম না পেয়ে থাকেন আপনার যদি বেশি বেশি সর্দি কাশি হলে করণীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। এই রোগটি ৩ থেকে ৪ দিনের বেশি থাকে না তাই সর্দি কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলি ব্যবহার করার পর বেশি দিন হয়ে যায় তাহলে অন্য কোনো বড়ো রোগ হতে পারে তখন আপনার অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের সরণপন্ন হওয়া উচিত। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Adsence

Adsence