প্রেমময় দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায়

 বিয়ে এমন একটি বন্ধন যা প্রত্যেক নারী  পুরুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য উপরওয়ালার বিশেষ নিয়ামত। বিবাহের পর বিবাহিত জীবন অনেক সময় দেখা যায় কলহপূর্ণ  অশান্তির আগমন ঘটে। এর ফলে স্বামী অথবা স্ত্রী অন্যান্য বাহ্যিক সম্পর্কে সুখ খুঁজতে যায়। তাই আসুন দেখে নিই প্রেমময় দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায়  খুঁজতে  কয়েকটি টিপস ফলো করুন 

প্রেমময় দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
Happy married life


প্রেমময় দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় 

.একে ওপরের  মন বোঝা

দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া ,দ্বন্দ্য হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই  সামান্য অশান্তিতে ভেঙে পড়লে চলবেনা,  একে ওপরের  সময় দিন ,সমস্যার কারণ বুঝে দুজনে মাইল সমাধাণ খুজুন। এছাড়া স্ত্রী দের করণীয় হলো স্বামীর সাথে অযথা তর্কে না জড়ানো ,আর স্বামীদের উচিত স্ত্রী রেগে গেলে তাকে আরো রাগিয়ে না দেয়া। বরং তার রাগের সময় তার সামনে না থাকা। কারণ মেয়েরা একটু কম বোঝে আর কথা বলে বেশি ,তবে ঝগড়া শেষে অবশ্য তাদের ভুল তাঁরা বুঝতে সক্ষম হয়।

.স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সদ্ব্যাবহার

স্বামী  স্ত্রী একে ওপরের পরিপূরক। স্বামীর উচিত স্ত্রীকে তার প্রাপ্প সম্মান করা ,অন্য কোনো ব্যাক্তির সামনে তাকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা না করা। এছাড়াও প্রত্যেক কার্যক্রম তাকে জানিয়ে তার পরামর্শ সহিত সম্পূর্ণ করা। মাঝে মধ্যে তার মন খারাপ হলে সারপ্রাইজ হিসাবে তার বাপের বাড়ি অথবা সে যে জায়গা যেতে পছন্দ করে সেখান থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসুন। সম্ভব হলে তার সাথে হাতে হাতে ঘরের কিছু কাজেও সাহায্য করা যায়। এতে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর প্রেম,আন্তরিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে। আর পুরুষের খুটখুটেমির কারণে অনেক সময় ঝামেলার সৃষ্টি হয় তখন স্ত্রী স্বামীকে শ্রদ্ধা  নয় বরং  ভয় পায় আর ভয়ে ভয়ে দাম্পত্য জীবন সুখী হয়না।

আরো পড়ুন How to make your happy life..তোমার জীবন কিভাবে সুখী করবে

 যেমন ধরুন  যদি খেতে গিয়ে দেখেন আপনার পাতে চুল পড়েছে  তখন যদি আপনি রাগারাগি করে স্ত্রী কে দুটি কটু কথা বলেন তাহলে ঝামেলা বাড়বে বই কমবেনা তাই আপনি তখন ভালোবেসে মিষ্টি হেসে বলতেই পারেন "তোমায়  এতো ভালোবাসি যে তোমার চুল  আমার প্রেমে পড়ে খাবার প্লেট অবধি চলে এসেছে  ছাড়ছেনা "  এতে আপনার স্ত্রী সাবধান তো হবেই এর সাথে আপনার প্রতি ভালোবাসা ,শ্রদ্ধা বাড়িয়ে দেবে। এতে ঝগড়াও হবেনা , অথচ  দাম্পত্য জীবন সুখী হবে। আর মানুষ তো ভুল করে তাই নিয়ে রেগে যাওয়ার কিছু নেই বরং ছোট খাটো ভুল গুলি ভালো বেসে বোঝানোও যায়।

.স্বামীর প্রতি স্ত্রীর সদ্ব্যাবহার

কথায় আছেসংসার সুখী হয় রমণীর গুনেদাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় ও দায়িত্ব উভয়ের সমান। তবে একজন স্ত্রীর ধৈর্য  ব্যবহারই সংসার  স্বামীর খুশির কারণ হয়। স্বামী যদি নিজে থেকে কিছু কিনে আনে তাহলে আদর্শ স্ত্রী হিসাবে আপনি কখনোই স্বামীর পছন্দ কে অপছন্দ করবেননা,সে জিনিস যদি আপনার অপছন্দও হয়  তাও। এতে পরেরবার আপনার স্বামী সন্তুষ্ট চিত্তে আপনার জন্য খুশি মনে উপহার নিয়ে আসবে এবং আপনার প্রতি ভালোবাসা  ও মনের ভাব বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুন : ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির সহজ উপায়

কখনো স্বামীর কোনো জিনিস আনার জন্য ফরমায়েশ করবেননা তার অর্থ সম্পদ  থাকলেও,সে খুশি মনে আপনার জন্য যাহা আনিবে তাই হাসি মুখে গ্রহন করা শিখুন।  আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস দরকার হলে শান্ত চিত্তে তাহাকে বলিবে ,কখনো কোনো কিছুর জন্য তাকে জোর ,জুলুম করিবেনা। এতে তার নজরে আপনি ছোট হয়ে যেতে পারেন।

   এছাড়াও স্বামীর বাড়ির ত্রুটির কথা বাপের বাড়িতে না বলার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন দাম্পত্য জীবনে সুখ আন্তে হলে একে ওপরের প্রতি ভালোবাসার সাথে বিশাস ও রাখতে হয়।,কারণ একটা সম্পর্ক বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে থাকে। আর আপনার সতীত্ব আপনার স্বামীর একমাত্র আমানত এটি রক্ষা করতে শিখুন। স্বামীর প্রতি এই সদ্ব্যাবহার গুলি করতে থাকুন দেখবেন আপনার স্বামী আপনার মুঠোয় আসার সাথে সাথে প্রেমময় দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।

প্রেমময়  দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীয়ের কর্তব্য  স্বামীর হক্ব আদায় করা

.স্ত্রীর প্রতি যখন তার স্বামী অসন্তুষ্ট থাকে তখন আল্লাহ  তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয় তাই আল্লাহকে খুশি করার আগে স্বামীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন : কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়,স্মার্ট হওয়ার সহজ কিছু উপায় 

.স্বামী কে সন্তুষ্ট করার  জন্য তার ইচ্ছে মতো পোশাক পরিধান করবে।

.তাহার আদেশ অনুযায়ী অন্যকে জিনিসপত্র দিবে।

.স্বামী যদি হুকুম না দেয়  তাহলে  নফল নামাজ  রোজা করবেননা এতে উপরওয়ালা অসন্তুষ্ট হয়।

.স্বামীর আমানত অর্থাৎ সতীত্ব রক্ষা করবেন  পর পুরুষের থেকে।

.স্বামীর পিছনে তাহাকে কটু কথা বলবেনা।

.স্বামীর ইচ্ছে  অনুযায়ী সহবাসে লিপ্ত হন।

.তার যেকোনো কাজে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করবেননা।

.তার পিতা ,মাতা ,আত্মীয় ,স্বজনের সহিত নম্র  ভদ্র ব্যাবহার করুন।

১০.স্বামীর সহিত নম্র  বিনয়ের সাথে কথা বলুন ,সে যেখান থেকে আসুক না কেন সর্বদা হাসি মুখে তার সামনে দাঁড়ান।

আরো পড়ুন : দিনের ১২ টি ভালো অভ্যাস যা আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং মন থাকবে সতেজ 

১১.স্বামীর সামনে অন্য পুরুষের প্রশংসা না করা।

১২.স্বামীর সামনে নিজের রূপ   দৌলতের অহংকার করিবেননা।

১৩.তাহাকে অন্য কারোর সামনে লজ্জায় ফেলিবেননা।

১৮.তাহার জন্য সর্বদা শুভ দোয়া করুন।


দাম্পত্য জীবনে স্বামীর কর্তব্য ও স্ত্রীর হক্ক আদায় করা

.মোহরানা বা দেনমোহর মার্জনার জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার বা তোষামদ করিবেননা ,স্ত্রী নিজ মনে খুশি হয়ে মোহর মাপ করিলে যথেষ্ট পুণ্য লাভ হইবে।

.স্ত্রীর ভাত কাপড় এর কোনো ত্রুটি করবেননা আপনার অর্থ সম্পদের অবস্থা অনুযায়ী।

.তাহার সহিত নিয়মিত তাহার খুশি অনুযায়ী নিয়মিত সহবাস করিবে।

.শরীয়তের হুকুম ছাড়া তাহার প্রতি কোনো অত্যাচার করিবেন বিনা কারণে।

.তাহার সহিত কখনো কটু কথা বলবেননা।

.তাহার সামনে অন্য কোনো মহিলার প্রশংসা করিবেনা।

.তাহার পরিবার কে যথেষ্ট সম্মান  আদর আপ্পায়ন করিবেন।

.তাহাকে নিয়ে অযথা ঠাট্টা তামাশা করিবেনা।

.স্ত্রী তাহার  অতি প্রিয় মানুষ  জিনিস ত্যাগ করে আপনার মতো আপনার পরিবার কে আপন করে নিয়েছে ,তাই তাহাকে তাহার প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে আপন ইচ্ছায় তাহার প্রতি সহানুভূতি শীল হইবে এবং মাথায় রাখতে হবে আপনিই এখন তার অতি আপন তাই তার কষ্ট  ভাগ করে নিন।

১০.তার বিরুদ্ধে কোনো কটু কথা শুনলে তা আগে যাচাই করে তবেই পদক্ষেপ নিন।

১১.স্ত্রীর ভালোলাগা ,খারাপ লাগা কে গুরুত্ব দিন।

১২.তার গর্ভকালীন অবস্থায় তার সাথে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন ,কারণ সে আপনার খুশির জন্য নিজের প্রাণ কে বাজি রেখেছে তাই এই সময় তার আপনাকে বেশি প্রয়োজন।

 

         প্রেমময় দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায়, খোঁজার  জন্য এই টিপস গুলি ফলো করুন দেখবেন আপনার পরিবার জান্নাতি সুখ বিরাজ করছে আর আপনি যদি নববিবাহিত হন তাহলে তো কথাই নাই ,আপনার চেয়ে বিবাহিত সুখী জীবন হয়তো অনেক কম মানুষ পেয়েছে। তবে অবস্যই  বিশ্বাস  ভালোবাসার সাথে এই টিপস ফলো করুন। best of luck .

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Adsence

Adsence