কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়,স্মার্ট হওয়ার সহজ কিছু উপায়
কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়, স্মার্ট হওয়ার সহজ কিছু উপায় :-
কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়, কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়,স্মার্ট হওয়ার সহজ কিছু উপায়,স্মার্ট হওয়ার উপায় কি, কিভাবে স্টাইলিশ হওয়া যায় , কিভাবে কিউট হওয়া যায়, মেয়েরা কিভাবে স্মার্ট হবে, ছেলেদের স্মার্ট থাকার উপায়,কিভাবে ভালো থাকা যায়,স্মার্ট ছেলে হয়ে ওঠার উপায় , সব কিছু এই আর্টিকেল জানতে পারবেন। How to be smart.
স্মার্ট কথার অর্থ কি ?
স্মার্ট কথাটি একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ বিভিন্ন সমার্থক শব্দ হতে পারে যেমন : বুধদ্ধিমান, চালাক , উজ্জ্বল , পরিচ্ছন্ন ও পরিষ্কারি, চটপটে ইত্যাদি
স্মার্টনেস কাকে বলে ?
" স্মার্ট " বা " স্মার্টনেস ' কথার অনেকগুলি অর্থ আমরা উপরে জেনে আসলাম তাহলে আমাদের ধারণা হলো স্মার্টনেস হলো সোজা কোথায়-
বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ , সহজ সরল, ভাল , জ্ঞানী, আচরণ , বুদ্ধিমত্তা, কাজ কর্মে নম্র ভদ্র নির্ভুল সক্ষমতার সর্বদিক দিয়ে সুন্দর ব্যাক্তিত্বের মানুষকে স্মার্টনেস বা স্মার্ট বলা হয়।
স্মার্টনেস কেন হবো ? স্মার্টনেস এর প্রয়োজনীয়তা কি ?
স্মার্টনেস এর প্রয়োজনীয়তা ছেলে মেয়ে সবারই ব্যাক্তিগত ভাবে প্রয়োজন।
ছেলেদের স্মার্ট থাকার উপায়, মেয়েরা কিভাবে স্মার্ট হবে, কিভাবে কিউট হওয়া যায়, কিভাবে স্টাইলিশ হওয়া যায়, কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়, স্মার্ট ছেলে হয়ে ওঠা সবারি ব্যাক্তিগত প্রয়োজন কারণ -
১. স্মার্ট হওয়ার ফলে প্রতিটি ছেলে মেয়ের কাছে সেরা হওয়া যায় যার কারণে সম্মান বেশি পাওয়া যায়।
২. নিজেকে স্মার্ট রাখতে পারলে নিজের কর্মদক্ষতা, স্কুল কলেজ এ সব জায়গায় সফল হওয়া সম্ভব।
৩. স্মার্ট রাখার অন্যতম প্রয়োজন হলো সোদা সর্বদাই সুন্দর থাকা যায়, কথাবার্তায় দৈহিক আচরণে অন্যদের মনে জায়গা করে নেওয়া যায়।
তাই নিজেকে স্মার্ট করে তোলার জন্য, স্মার্ট হওয়ার সহজ কিছু উপায় জানতে হবে।
- দিনের ১২ টি ভালো অভ্যাস যা আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং মন থাকবে সতেজ
- ঘুম আসে না কেন।। ঘুম বৃদ্ধির উপায়
- প্রতিদিন বই পড়ার গুরুত্ব, উপকারিতা
- জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী
- তোমার জীবন কিভাবে সুখী করবে
- সুন্দর কথা বলার কৌশল
মেয়েরা কিভাবে স্মার্ট
হবে এবং ছেলেদের স্মার্ট থাকার উপায় :- How to be smart
১. নিজেকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন :-
স্মার্টনেস এর সহজ উপায় হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা , সেটা মানসিক ও দৈহিক দুটোই।
অপরিষ্কার মন ও দেহ স্মার্ট হতে পারে না। দেহের পরিচ্ছন্নতা বলতে সবার প্রথমে আপনার ড্রেস- আপ এর দিকে খেয়াল করতে হবে। আপনি কি ভাবছেন ছেঁড়া জামা ছেঁড়া প্যান্ট স্মার্টনেস, মোটেও না।
আপনার যদি কম দামি জুতো কম দামি জামা কাপড় থাকে সেগুলি পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা। জামা প্যান্ট ইস্ত্রি করে পরিধান করা। মানুষের চোখ সবার প্রথমে পায়ের দিকে যায় তাই জুতো টা কে পরিষ্কার করে পরা।
এর পর বলবো মনের দিক দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। আপনি রাস্তা ঘাটে অনেক লোক দেখবেন ড্রেস আপ পরিপাটি পরিছন্ন কিন্তু তাদের ব্যাবহারে আছে কলংকের ছাপ- ঘৃণা , রাগ , হিংসা , তাই মন মানসিকতা দৈহিক সব দিক দিয়ে পরিপাটি হতে পারলে স্মার্ট ব্যাক্তি।
২. বুদ্ধিমত্তার সাথে কথা বলুন হাসিমুখে :-
কথায় বলে ' বন্দুকের গুলি আর মুখের কথা একবার বার হতে পারলে ফিরিয়ে আনা যায় না
' তাই বেশি কথা বলা থেকে বিরত থাকুন , এবং বুদ্ধি দিয়ে কথা বলুন।
আর হ্যাঁ মানুষের মন জয় করার জন্য মুখে সর্বদাই ' স্মাইলি লুক ' রাখুন। তবে সব জায়গায় নয়। হতে পারে আপনি একটি মৃত্যু
বাড়িতে গেলেন সবাই শোকে শোকাহত আর আপনি হেসে হেসে কথা বলছেন এই ট্রিকস এই জায়গায় খাটবে না। তাই বুধ্ধিমত্তার সাথে জায়গানুপাতে মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলুন।
আর আপনি নিশ্চয় চান আপনার কথা অন্য জন মন দিয়ে শুনুক ও বুঝুক। আপনি ও তেমন টা করবেন কথা বলার থেকে অন্য ব্যাক্তির কথা বেশি শুনবেন এবং ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করবেন।
দেখবেন আপনাকে সবাই আকর্ষণীয় ব্যাক্তি হিসাবে চিহিন্নিত করবে এই নীতি টা ফলো করলে আপনি হবেন স্মার্ট।
৩. চোখে চোখ রেখে কথা বলুন :-
সহজে স্মার্ট ব্যাক্তি হওয়ার আরো ও একটি উপায় হলো "আই কন্টাক্ট " অর্থাৎ চোখে চোখ রেখে কথা বলা। এই অভ্যাস করুন সবার সাথে। সে হতে পারে অফিসের বস , প্রেমিক প্রেমিকা , আবার হতে পারে দোকানের কাস্টমার। কারণ আমাদের সবার ব্রেন সবার সাথে কানেক্টেড। চোখে চোখ পড়লে অনেক অনুভূতি ভাষা বলে দিতে পারে।
ধরুন আপনি যদি কোনো একটি ডেটে যান আর আপনার প্রিয় মানুষটার প্রতি না তাকিয়ে যদি নিচের দিকে তাকান ,হাতের দিকে তাকান , বা অন্য দিকে তাকান তাহলে আপনার প্রতি একটি খারাপ ধারণা আসবে। আপনি যে একজন স্মার্ট ব্যাক্তি সেটা আর ভাবতে পারবে না।
তার মনে এই ধারণা টা আসতে পারে যে আপনি একজন লাজুক প্রকৃতির মানুষ , না হয় আপনি ভয় পাচ্ছেন। তাই আপনার স্মার্টনেস স্বভাবের জন্য চোখে চোখ রেখে কথা বলার অভ্যাস করুন।
৪. বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর প্রতি খেয়াল রাখুন :-
আপনার বসা, হাঁটা চলা , হাত নাড়া চড়া ভঙ্গিমাতে বোঝা যায় আপনি কতটা স্মার্ট ব্যাক্তি। আপনি যদি শিরদাঁড়া সোজা রেখে বসেন তাহলে অপর ব্যাক্তির কাছে কনফিডেন্ট এবং মনোযোগী বলে মনে হয়। আর গুড়িয়ে শুটিয়ে বাঁকা হয়ে বসেন তাহলে দুর্বল প্রকৃতির মনে হয়। আপনি কোনটা করবেন ? আর হাঁটার সময় ঝুকে না হেটে মাথা উঁচু করে সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটা স্মার্ট ব্যাক্তির পরিচয়।
আর বসার সময় হয়তো আপনি গুরুজন ব্যাক্তির সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসলেন সেই ব্যাক্তির আপনার
প্রতি একটি খারাপ মনোভাব সৃষ্টি হবে।
আবার অনেকের হাত নেড়ে কথা বলার অভ্যাস থাকে আপনি এমন একটি জায়গায় কথা বলছেন আপনার বন্ধুদের সাথে , হাত নেড়ে কথা বলতে গিয়ে আপনার পশে থাকা কোনো একটি লোকের লেগে গেলো এমনটা করলে চলবে না।
তাই ভদ্র স্মার্টনেস ব্যাক্তিত্ব পেতে গেলে বডি ল্যাঙ্গুয়েজে এর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
৫. সৎ সঙ্গীর সাথে চলুন : -
সর্বদা সততা থাকুন এবং সৎ মানুষজনদের সাথে চলার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে নেগেটিভ মানুষজনদের থেকে এড়িয়ে চলুন।
এই প্রকৃতির মানুষরা প্রচুর পরিমানে অলস হয়ে থাকে এরা জীবনে কিছু করতে পারে না। আর আপনি যেমন মানুষদের সাথে ওঠা বসা করবেন আপনার ব্রেন সেই দিকে কনভার্ট হবে। বিশিষ্ট মনীষী, বিজ্ঞানী , দেশনায়ক এ.পি.জে.আবুল কালাম আজাদ এর উক্তি –
" একটি ভালো বই একশজন ভালো বন্ধুর সমান। কিন্তু একজন ভালো বন্ধু একটা আস্ত লাইব্রেরি সমান "।
তাই আপনি একটি ভালো বন্ধু বাছাই করতে পারেন , দুঃখ, কষ্ট , আনন্দ সর্বদা পাশে থাকবে।
আপনি যদি একটি শিক্ষিত মানুষের সাথে চলাফেরা করেন তাহলে শিক্ষার কথা শুনবেন। একজন পুরোহিতের সাথে চলাফেরা করলে পুজো পাঠের কথা শুনবেন , আর একজন চোরের সাথে চলা ফেরা করলে কিভাবে চুরি করবেন সেগুলি শিখবেন।
তাহলে আপনি বেছে নিন কেমন ধরণের মানুষের সাথে চললে আপনার ভালো হবে এবং স্মার্টনেস বৃদ্ধি
পাবে।
৬. প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার কৌশল :-
মজা করে সিনেমার একটি ডায়লগের কথা মনে পরে গেলো - " মার্ খাওয়ার কোনো বয়স নাই এবং শিক্ষার কোনো শেষ নেই " তাহলে ভাবুন আপনি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত নতুন নতুন শিক্ষা অর্জন করছেন আর মৃত্যু পর্যন্ত শিখতে হবে আরো কত কিছু। তবে ভালোভাবে সঠিক পদ্ধতিতে জ্ঞান অর্জনঃ করতে পারলে আপনি সফল হবেন। সাধরণত আমার জন্মের পর কথা বলতে শিখি মাত্র ১ বছর বয়সে কিন্তু ভালো কিছু বলার জন্য সারা জীবন শিখতে লাগে। তাই নোতুন কিছু শিকার জন্য কিছু কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়।
যেমন সময় কে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন বই পড়া , খবর পত্রিকার কাগজ পড়া , সোজা কথা সমাজের সাথে সাথে নিজেকে আপডেট করিয়ে নেওয়া। আপনি স্কুল কলেজ এ পুঁথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন। এই শিক্ষা সবকিছু নয়। আপনি সমাজ থেকে যা শিখবেন স্কুল এর চার গন্ডির মধ্যে সেই শিক্ষা পাবেন না। সমাজ বাস্তবতা শেখায় , আপনি সমাজের বিভিন্ন মানুষের সাথে চলাফেরা করতে পারেন জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারেন। তাহলে আপনি কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায় তার অনুসন্ধান পেয়ে যাবনে।
৭. নিজেকে সুস্থ রাখুন শারীরিক সাস্থ খেয়াল রাখুন :-
আপনি যে একজন স্মার্ট ব্যাক্তি আপনার চিন্তাধারা বুদ্ধি বিবেগ, কথা বলার কৌশল এই সব স্মার্টনেস ছাড়া ও আপনি দেখতে কেমন আপনার চেহারার সৌন্দর্য কেমন এই সব স্মার্টনেস এর জন্য গুরুত্ব। আপনি চিকন না মোটা এগুলি সমাজের চোখে সমালোচিত। তাই আপনার শরীর সুস্থ নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন জিমে যেতে পারেন। অতিরিক্ত মোটা বা অতিরিক্ত চিকন ব্যাক্তি কে সমাজে সমালোচিত।
তাই সঠিক পুষ্টিগুণ জাতীয় খাবার দ্বার আহার করা। শরীরে বেশি মেদ না জমে সেদিকে খেয়াল রাখা আবার বেশি চিকন হওয়া ও ভালো না যদি ও এগুলি সবই উপরওয়ালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত , তারপর ও আমাদের ইচ্ছা কর্মদক্ষতা দিয়ে উপরওয়ালা চেঞ্জ করে দেয়। আর একটি বলিষ্ঠ সুন্দর চেহারার প্রতি সত্যি আকর্ষণ হয়।
তাই স্মার্টনেস এর বিচার করে আগে দর্শনধারী তারপর গুন্ বিচারি , তাই সব কিছুর অধিকারী হতে পারলে প্রকৃত স্মার্টনেস।
৮. ইতিবাচক চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করুন :-
আপনার চিন্তাধারা সর্বদা ইতিবাচক
রাখুন। নেতিবাচক লোকেরা সমাজে কিছু করতে পারে
না সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয় । এই ধরণের
লোকেরা অলস হয়ে থাকে জীবনে উন্নতি করতে পারে না। আপনার কলেজ কর্মে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা
রাখুন, নিজের প্রতি আত্মবিশ্সাস মনোভাব গড়ে তুলুন , নিজেকে মোটিভেট রাখার জন্য বেশি
বেশি বই পড়ুন , সফলতার গল্প শুনুন , ইন্টারনেট জগৎ কে ব্যবহার করুন সময় নষ্টের জন্য
নিয়ে , সময়কে কিভাবে কাজে লাগানো যায় , বেশি বেশি জ্ঞান বৃদ্ধি করুন , প্রতিটি মানুষকে
সম্মান করুন , কুরুচিকর অভ্যাস গুলি থেকে বিরত
থাকুন এই সমস্ত নিয়ম নীতি গুলি ফলো করুন আপনি একজন শক্তিশালী ব্যাক্তিত্বের অধিকারী
স্মার্ট ব্যাক্তি।